একহারা গড়ন আর মিষ্টি হাসি,
সুরেলা গলায় পড়া পবিত্র কোরান,
ভোরের বেলাতেই সারা এইসব,
এরপরে শোনা আকাশবানী।
নিত্যদিনের রুটিনে বাধা তার
একান্ত জীবন, কোনদিন হয় নি
বন্ধ শোনা রবিবাবুর গান, আর
আমাদের সবার সকালের খাবার।
গম্ভীর আর মমতাভরা মা
অধিক বাৎসল্য করেননি প্রকাশ,
নিভৃতে ছিলো তার না পাওয়ার
দুঃখ, শাসনে ছিলো না কোন অভাব।
রাত জেগে, না খেয়ে অপেক্ষা নিজের,
প্রায়শ হয়েছে তার নিত্য রুটিন,
ছেলে আর মেয়েদের অবাধ্য চারণ
শান্তি পায় নি তার যাপিত দিন।
সেই চৌদ্দয় পুতুল, স্কুল আর
খেলা ছেড়ে বোনের মায়া থেকে
নিজের সংসার,
বয়সের ব্যবধানে প্রিয় মানুষ
দুরত্ব থেকেছে তার ভাবনার তালে,
কবিগুরু আর উপন্যাসের পাতায়
স্বপ্ন এঁকেছে সে সকালে বিকেলে।
স্বপ্ন ভাংগা গড়া বোঝার আগেই
পাঁচ ছ'টি ছেলে মেয়ে হয়েছে বোঝাই,
ক্লান্তিহীন কাজের ফাঁকে ভুল হয়নি
তার স্বামীর সেবায়।।
স্বপ্ন একেছে, স্বপ্ন দেখেছে
ছেলে মেয়ে সব নিয়ে মধ্য বেলায়,
কাজে আর অকাজে কেটেছে প্রহর
রাজকীয় অসুখে সে নিয়েছে বিদায়।।
( গত ২৭শে এপ্রিল, আমার মায়ের ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী ছিলো। আমার মাকে নিয়ে আমার প্রথম কবিতা। )
রচনাকাল : ১০/৫/২০২০
© কিশলয় এবং কাজী রাশেদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।