এই তো আবার,কাছে এলে
বিশ্বের ঘরের ছেলে
শৈশবের সেই সব
কখনও বা হিজিবিজি
কখনও স্পষ্ট
অনেক সাধ্যসাধনার পর
তুমি যে বিশ্বকবি হোলে
সেই তো প্রথম কবিতার শুরু
"জল পড়ে পাতা নড়ে
পাগলা হাতীর মাথা নড়ে"
তবেই না হোলে তুমি
বিশ্বের কবিগুরু
নাছিলো পড়াশোনায়
কোনোদিন ঝোঁক
জমিদারপুত্র,নাছিলো রোকটোক
মহর্ষি দেবেন্দ্রপুত্র
কবিতা তোমার রহস্যের সূত্র
তুমি মহাঋষি, তোমার ঝুলিতে ভরা
কাব্য রাশি রাশি
ভাবো নাই আগুপিছু
সাথে কাগজ কলম কিছু
স্কন্ধে ঝুলিয়ে ঝোলা
রইলো ঝোলা চললো ভোলা
আকাশে ঘন মেঘ করে খেলা
সারাটি দিন কলম ঠ্যালা
গঙ্গারই তীরে, কবিতার পানসে তরী
ভিরছে ভীড়ে
নীপবৃক্ষে পক্ষীকুল
বোসছে এসে, স্বপ্নের নীড়ে
কন্ঠ উদাত্ত, কবিত্বে মত্ত
মনীষের মানসে
তুমি চিরসত্য
তোমার নামে কলম ধরা
সেতো দু:সাহস
নাকি ধরাকে সরা জ্ঞান করা
হে মহান, ত্রুটি মার্জনীয়
বিদ্যার সাগর তুমি
বিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জন
তোমার নাছিলো প্রয়োজন
তুমি কবি, তুমি গুরু
রবি ইন্দ্র নাথ
তুমি ঠাকুর, মায়ামুকুর
মায়াকবি, আবেগকবি
তুমিই জগৎনাথ
নীলনভঘনে ঘননীল গগনে
দেখি তোমার প্রতিচ্ছবি
তুমি সূর্য্য, তুমি ভাষ্কর তুমি বিশ্বকবি
আজ পচিশে বৈশাখ
কারো হাতে বই
কারো হাতে শাখ
ঐ শোনো ডমরু গুরুগুরু
সারা বিশ্বে তোমার
পূজো হোলো শুরু
দিয়ে ধূপধূনো, তুমি যে কবিগুরু
মানবজাতি দিচ্ছে হুঙ্কার
তুমি নাকি ওদের অহংকার
বিশ্বের দরবারে, পতিত বাঙালিকে
টেনে তুলেছিলে তুমি
তাইতো তোমার শুভ জন্মদিনে
মহান চরণ যুগল চুমি।।
রচনাকাল : ৮/৫/২০২০
© কিশলয় এবং সুশোভন গাঙ্গুলী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।