মহামারী ইতিহাসে পড়া, সাহিত্যেও জাগে শিহরণ,
বিজ্ঞান হয়েছে উন্নত, অহংকারে উন্মত্ত জনগন,
ভাবলো পৃথিবী শুধু তার, প্রকৃতিতে মারলো কুঠার ,
প্রাণীকুল হবে তার দাস, জয়মাল্যে করবে বরণ।
অদৃষ্টে লেখা ছিলো ভিন্ন,
আনলো সে বন্দীর ফরমান,
পিঞ্জরে পশু দেখে হতো কতো স্ফূর্তি ,
আজ নয় কেউ আর তার চেয়ে অভিন্ন।
পরিবার মিলে গৃহে আছে যার ললাটে,
মনে ভাবি কতো তার শান্তি ,সৌভাগ্য,
প্রবাসে বিপদকালে জীবিকার দায়ে যে,
উৎকন্ঠা সাথী তার , আর চাঞ্চল্য।
পিতা মাতা বান্ধব , আত্মীয় পরিজন
ছুটে যেতে মুহূর্তে চায় মন ;
স্টেশন ও যে শুনশান, ওড়ে না উড়োজাহাজ ,
কোনো কাজ থাকে না যে মনে আজ।
বিধাতার মঞ্চে বিভূতি- সত্যজিৎ
নিশ্চিনদিপুর গোটা বিশ্ব,
রেলগাড়ি দেখা স্বাদ মুমূর্ষু দুর্গার,
দাগ কাটে বড় আজ সে দৃশ্য।
লড়ে যায় তবু আজ অপূর্ব কুমার রায়
সংগ্রামে খুঁজে পায়ে মিঠে জয়,
বিধির মুখোমুখি তরবারি ঠুকে সে
ভরসা রেখেছে আজও মানবতা, বিজ্ঞানে।
বিজ্ঞান হাতিয়ার , যুদ্ধের দামামা,
মৃত্যুমিছিল হাঁটে, গর্জায় শঙ্কা,
দিনশেষে মহামারী হবে জানি পরাজিত,
নব ঊষা শুনবে নব জয়ডঙ্কা!
নতুন রোদ্দুরে চেনা ব্যস্ততা মাখাবো
আলসে বিকেলে তুমি আমি খুনসুটি করবো,
আসর জমিয়ে দেবো, তুলবো তুফান!
শুধু ভালো থেকো দুর্দিনে এই করি প্রার্থনা,
কঠিন, পিছল পথ, তবু জয়লাভ নিশ্চিত,
অসীম কৃতি মানব, দূর্জয়ের বিজয়ী,
বিশ্বাস রেখো মনে , দেখা হবে শীঘ্রই !
রচনাকাল : ৩/৫/২০২০
© কিশলয় এবং সৌতম রায় কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।