গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া ……..আছে মায়া
আমার গাঁয়ের কবিতা-২ (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ে অজয় নদীর ধারে,
নদীর চরে ধবল বলাকা বসে থাকে সারে সারে।
পূবেতে রবি ছড়ায় কিরণ অজয় নদীর জলে,
রাঙাপথ ধরে যাত্রীরা আসে ঘাট ভরে কোলাহলে।
গোরুর গাড়ি উড়িয়ে ধূলো নদীঘাটে এসে থামে,
মহা কলরোলে যাত্রী সকলে ঘাটে এসে সব নামে।
অজয়ের ঘাটে আসে সবে হাটে হাট বসে রবিবারে,
আমার গাঁয়ে অজয় নদীর ধারে।
পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকে গাঁয়ের বধূ কলসী কাঁখে,
সারি সারি তাল খেজুরের গাছে ডাহুক ডাহুকী ডাকে।
এ গাঁয়ের মাঠে চাষী ধান কাটে ঘরে ফেরে সাঁঝ হলে,
আমার এ গাঁয়ে অন্ধকার নামে জোনাকিরা সব জ্বলে।
লক্ষ তারা ফুটে রাতে চাঁদ উঠে দূরে আকাশের পারে,
রাত্রি নিঝুম, চোখে নেই ঘুম ডাকে শেয়াল বারেবারে।
আমার গাঁয়ে অজয় নদীর ধারে,
রাত কেটে যায় পাখিরা গায় যাত্রীবোঝাই নৌকা ছাড়ে।
রচনাকাল : ২৬/১১/২০১৯
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।