শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন অষ্টম পর্ব- পূজোর কবিতা-৮
আনুমানিক পঠন সময় : ২ মিনিট

কবি : লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেশ : India , শহর : New Delhi

কিশলয়তে প্রথম আত্মপ্রকাশ - ২০১৯ , সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ৯৩৫ টি লেখনী ৭২ টি দেশ ব্যাপী ২৫৭০৬৭ জন পড়েছেন।
শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন 
অষ্টম পর্ব- পূজোর কবিতা-৮
কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরৎ মানেই শিউলির মধুগন্ধ ভেসে বেড়ানোর দিন। শিউলির আরেক নাম শেফালি। শিউলি বা শেফালি যাই বলি না কেন চমৎকার এ ফুল নিয়ে দুটি গ্রিক ও ভারতীয় উপকথা আছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যক উপন্যাসে শিউলির বিশাল বন ও তার তীব্র ঘ্রাণের কথা বলা হয়েছে।

বর্ষার ফুল দোলনচাঁপা শরতেও ছড়ায় তার সুবাস। শরতের সন্ধ্যায় দোলনচাঁপার সাদা পাপড়ি যেন আওড়ায় প্রিয় কোনো প্রেম কাব্য। এ ছাড়াও শরতে জবা ও পদ্মফুলও ফোটে। পদ্মফুলের লাল ও সাদার আভা দেখতে কতই না সুন্দর। শুধু দেখতে ইচ্ছে পাপড়ির ছড়া বহু গুচ্ছময় পদ্ম ফুলকে।

জাফরানি বোঁটার দুধসাদা ছয় পাপড়ির এ ফুল রাতে ফোটে ও সকালে ঝরে পড়ে। বেলি ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করে রাতের আকাশ। বেলি ফুলের ঘ্রান আর পাপড়ি সাজানো বেলি। বেলি ফুল বর্ষার ফুল হলেও ফোটে শরতে।

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ এরা সকলেই বারবার শিউলির প্রশংসা করেছেন। ফুলকলিরা মুখ তোলে সন্ধ্যায়। সূর্যের সঙ্গে এদের আড়ি, নিশিভোরেই ঝরে পড়ে মাটিতে। বোঁটার হলুদ রং টিকে থাকে বহুদিন। কাশ শরতের অনন্য ফুল।

আবহমান বাংলার চিরায়ত ফুল। শরতে কাশবনের স্নিগ্ধ শোভা প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত রাখে। কাশবনের অপার সৌন্দর্য দেখা যায় অজয় নদীর দুধারে।  সেখানে বেশ নিশ্চিন্তেই ফোটে শুভ্র কাশ। তবে এখন আর আগের মতো কাশবন দেখা যায় না। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ তাদের হটিয়ে শুধু নিজেদের বেঁচে থাকার কথাই ভাবছে। সাদা মেঘের ভেলার সঙ্গে কাশফুলের সাদা ঢেউ শরতের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার আনাচকানাচে কাশফুলের অপরূপ শোভা চোখে পড়ে।  শ্রাবণ শেষে সাদা সাদা তুলোর মতো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ, মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়ে সেই মেঘ আরও হালকা হয়, আরও সাদা হয়। সে মেঘের ছায়া পড়ে নদীর ধারে, কাশবনে। মেঘ, আকাশ আর কাশফুলের ছায়া পড়ে নদীর নীলজলে। এমন মনোলোভা চিত্র কি আর সব সময় দেখা যায়?


শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন 
অষ্টম পর্ব- পূজোর কবিতা-৮
কবি-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সাদা মেঘ ভাসে শারদ আকাশে
মৃদু-মন্দ বায়ু বয়,
আগমনী গানে দোলা দেয় প্রাণে
মানস চঞ্চল হয়।

শিউলির ডালে ফুটেছে সকালে
রাশি রাশি ফুলকলি,
ফুলের সুবাসে দলে দলে আসে
ফুলবনে যত অলি।

পাখি সব গায় তরুর শাখায়
শঙ্খচিলে দেয় ডাক,
প্রাতে আর সাঁঝে ঢোল কাঁসি বাজে
বেজে ওঠে জয়ঢাক।

অজয়ের চরে কিবা শোভা ধরে
কাশফুল ধারে ধারে।
যাত্রীরা সকলে আসে দলেদলে
পার হয় সারে সারে।

সবুজের খেতে ঢেউ ওঠে মেতে
মাঠে মাঠে সোনাধান,
বাতাসে বাতাসে সুর ভেসে আসে
নব আগমনী গান।

রচনাকাল : ২৪/৯/২০১৯
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

শেয়ার করুন    whatsapp fb-messanger fb-messanger



যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 10  Canada : 40  China : 32  Europe : 7  France : 10  Germany : 5  Hungary : 8  India : 445  Ireland : 22  Japan : 4  
Russian Federat : 6  Singapore : 1  Sweden : 18  Ukraine : 8  United Arab Emi : 1  United Kingdom : 1  United States : 260  
যেখান থেকে লেখাটি পড়া হয়েছে -


Bangladesh : 10  Canada : 40  China : 32  Europe : 7  
France : 10  Germany : 5  Hungary : 8  India : 445  
Ireland : 22  Japan : 4  Russian Federat : 6  Singapore : 1  
Sweden : 18  Ukraine : 8  United Arab Emi : 1  United Kingdom : 1  
United States : 260  
© কিশলয় এবং লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
শরতের আগমনী-পূজোর কবিতা সংকলন অষ্টম পর্ব- পূজোর কবিতা-৮ by Lakshman Bhandary is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License Based on a work at this website.

অতিথি সংখ্যা : ১০৪৮৩৮৫১
  • প্রকাশিত অন্যান্য লেখনী