জলের দু’টো ফোঁটা টুপ করে হাতে এলো ।
রাই হতচকিত । “বৃষ্টি !!!”
..কৃষাণুর চোখে আবার নিজেকে হারালো ও ।
হাতে হাত ; অনুভূতি প্রথম ।
ওরা বিশ্বাস খুঁজছিলো ।
দমকা বাতাস নাড়াতে চেয়েছিলো
অন্তরের গভীর সত্ত্বা ।
....অপারক । ভালোবাসা জিতেছে ।
এক-দুই করে ... হাজার লক্ষ ফোঁটা ।
নিরুত্তাপ ; আবার হারালো ওরা ... হাতে হাত ।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ।
ব্যতিব্যস্ত মানবজীবন ,
আশ্রয়ের সন্ধান অজানা ।
দুটিতে বর্ষা উপভোগে বিহ্বল ;
ভালোবাসার প্রথম জল ।
এক- দু পা ... ছলাৎ ছল
ওরা মেঘের নাচন নাচে ।
ঘন কালো গগন মাঝে ,
নিষ্পাপ দুটিতে হাসে ।
মোহিনী যেন ।
বেপরোয়া দ্বয় ; তবে
সীমারেখা তে বিচক্ষণ ;
বৃষ্টির ছন্দে ওদের পরিচয় ।
হারালো ব্যক্তিগত ভাব ;
এখন শুধুই একে অপরের পরিচয় ।
ঝমঝমিয়ে বারিধারা ।
সবাই ছত্রাধারে ;
ওরা দুই জল মধ্যে অবাক
যে প্রেম করে , তা কেউ
পারে না । ওরা দেব শিশু নয় ।
দেখতে পাবে তুমিও চেয়ে,
ঐ সরল পানে ...
দুটিটে কেমন ময়ূর নাচন
নাচছে মোর প্রাণে ।
অবাক নাচন ; ওদের বর্ষা নাচন ।
আশ্চর্য বারিধারা ।।
রচনাকাল : ১/৪/২০১২
© কিশলয় এবং কাজরিকা কর্মকার কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।